প্রায় ৩৫ বছর ধরে গ্রামে ঘুরে ঘুরে সাপ ধরেন সাপুড়ে লালচাঁদ কর্মকার। মঙ্গলবার সকালে সাপ ধরতে গিয়েছিলেন সাগরতীরের পাথরঘাটার নাচনাপারা গ্রামে। সাপুড়ে লাল চাঁদ বিষধর সাপকে ভেবেছিলেন অজগরের বাচ্চা। তাই সাপ ধরতে গিয়ে সতর্কতার বিষয়টি তেমন একটা পাত্তা দেননি।
তবে সাপটি তাকে কামড় দেওয়ার পর শারীরিক জটিলতা শুরু হলে তিনি বুঝতে পারেন এটি অজগরের বাচ্চা না, এটি বিষধর সাপ। তাই ওঝাগিরি ফেলে ছুটে যান মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, কিন্তু সেখানে ছিল না ভ্যাকসিন। সকাল গড়িয়ে দুপুর হলে অচেতন লালচাঁদ পৌঁছান বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সাপের কাটার ৭ ঘণ্টার বেশি সময় পর হাসপাতালে এসে ভ্যাকসিন নিলেও বাঁচানো যায়নি লালচাঁদকে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এই সাপুড়ে। কিন্তু চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, সাপে কাটার তিন ঘণ্টার মধ্যে ভ্যাকসিন দেওয়া গেলে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব।