সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব।
সনাতনী রীতি অনুযায়ী, প্রতি বছর চন্দ্র আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে শুরু হয় জগন্নাথদেবের রথযাত্রা ।
শুভ রথযাত্রা উপলক্ষে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার স্বনির্ভর ইউনিয়নের তারিনী চরন হাট (টি সি হাট) এলাকায় শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেব মন্দির প্রাঙ্গণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে আনন্দমুখর পরিবেশে শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা মহোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
রথের শোভাযাত্রা মন্দির প্রাঙ্গন থেকে শুরু হয়ে শান্তিনিকেতন বাজার মোর – দক্ষিন সাবেক রাঙ্গুনিয়া জগদ্বন্ধু মহাউদ্ধারন মঠ – শ্রীশ্রী ক্ষেত্রপাল বাড়ি হয়ে- শ্রী শ্রী সমভাব আদিত্য ধাম ও রাধাগোপীনাথ মন্দিরে গিয়ে শেষ হবে। নয়দিন জগন্নাথ এ মন্দিরে(মাসীর বাড়ি)শ্রী শ্রী সমভাব আদিত্য ধাম ও রাধাগোপীনাথ মন্দিরে অবস্থান করবেন।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, জগন্নাথদেব হলেন জগতের নাথ বা অধীশ্বর। জগৎ হচ্ছে বিশ্ব আর নাথ হচ্ছেন ঈশ্বর। তাই জগন্নাথ হচ্ছেন জগতের ঈশ্বর। তার অনুগ্রহ পেলে মানুষের মুক্তিলাভ হয়। জীবরূপে তাকে আর জন্ম নিতে হয় না। এই বিশ্বাস থেকেই রথের ওপর জগন্নাথ দেবের প্রতিমূর্তি রেখে রথ নিয়ে যাত্রা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
রথযাত্রার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। রথযাত্রার দিন রথের দড়ি ধরে যিনি টান দেন তার মনে সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়। ভগবানের বিশেষ কৃপা তিনি লাভ করেন। রথযাত্রায় অংশগ্রহণ করলে শিশুদের যাবতীয় সমস্যা দূর হবে।
৫ জুলাই বিকেলে উল্টো রথের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা একই পথে তারিনী চরন হাট জগন্নাথ দেব মন্দির এ আনা হবে। এ ছাড়া শোভাযাত্রাসহ উৎসব উপলক্ষে নিরাপত্তায় নিজস্ব প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবে।