সরফভাটা ইমাম আজম আবু হানিফা (রহ:) এর স্কুলের পরিচালক নুরুল আবছার ফেসবুকে #কিশোর_গ্যাং নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, “৮নং সরফভাটা ইউনিয়নে ৩নং ওয়ার্ডের দোতলা মসজিদ এলাকাটি খুবই শান্ত একটি এলাকা। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে এখানে একটি কিশোর গ্যাং তৈরি হয়েছে এবং দেখা যাচ্ছে দুয়েকজন কুলাঙ্গার অভিভাবক সন্তানকে প্রশ্রয়ও দিচ্ছে। যে সকল কিশোর অন্যায়ে জড়িয়ে যাচ্ছে তাদের অভিভাবকদের এই মর্মে হুশিয়ার করা হচ্ছে যে, শীঘ্রই যদি আপনাদের সন্তানদের কন্ট্রোল না করেন বা ঘটিত অপরাধের শাস্তি নিজ দায়িত্বে প্রদান না করেন তাহলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।
বিঃদ্রঃ এই কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে এলাকার সর্ব-সাধারণ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা দৃশ্যমান হবে বলে আশা করছি।”
শুধু সরফভাটার এই জায়গায় নয়, রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বেড়ে চলেছে কিশোর গ্যাং এর অপতৎপরতা। গত শুক্রবার মরিয়মনগর মাস্টার ক্লাবের একটি বিয়েতে তুচ্ছ ঘটনায় দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে একজন ছুরিকাহত হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে। একইদিন রাতে পোমরা ৯ নং ওয়ার্ডের উত্তর নোয়াগাও এলাকায় একটি মুঠোফোন নেয়াকে কেন্দ্র করে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন চাচা। এরআগে বেতাগী ইউনিয়নে ফুটবল খেলায় সহপাঠির ছুরিকাঘাতে আহত হয় এক কিশোর৷ এভাবে সাম্প্রতিক সময়ে উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে কিশোর অপরাধ। এর লাগাম টেনে ধরা এখন সময়ের দাবী বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
অন্যদিকে আবার উপজেলায় বেশ কিছু কিশোর-তরুণদের সংগঠন মানবিক নানা কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। যা প্রশংসার দাবীদার। অভিভাবকদের সচেতনতা, সমাজের ভালো ভালো কাজে উৎসাহীতকরণ এই কিশোর অপরাধ রোধ করতে পারে।