1. abbashossain761@gmail.com : চলমান রাঙ্গুনিয়া : চলমান রাঙ্গুনিয়া
  2. info@www.cholomanrangunia.online : চলমান রাঙ্গুনিয়া :
শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ছাত্রী সম্পূর্ণার অকাল মৃত্যু, শিক্ষকের ফেসবুকে কান্নাভেজা স্মৃতি রাঙ্গুনিয়ায় যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত ছোট্ট মিমির শেষ সকাল দ্যা স্কলার্স ফোরাম রাঙ্গুনিয়ার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়া প্রেস ক্লাবের নামে অপকর্মে সতর্ক থাকার আহ্বান ‘আওয়ামীলীগসহ ১৪ দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে ‘ – জামায়াতের সমাবেশে বক্তারা সরফভাটায় অভিযানে বালু তোলার ড্রেজার জব্দ,লক্ষাধিক টাকা জরিমানা রাঙ্গুনিয়া মহিলা কলেজে এইচএসসিতে সাফল্যের সুবর্ণধারা অব্যাহত সুযোগ পেলে রাঙ্গুনিয়ায় আধুনিক ১০০ শয্যার হাসপাতাল হবে — ডা. এটিএম রেজাউল করিম ইয়াসিন আর ফিরবে না : মামার বাড়িতে পানিতে ডুবে মৃত্যু

মসজিদ উপযুক্ত স্থানে না হওয়ায় অসন্তুষ্ট ধর্ম উপদেষ্টা

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫
  • ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে

আব্বাস হোসাইন আফতাব ও জগলুল হুদা
দেশের অনেক জায়গায় মডেল মসজিদ উপযুক্ত স্থানে হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে তিনি এই মন্তব্য করেছেন। মসজিদের ফলক উদ্বোধন ও মুনাজাত শেষে মসজিদের কনফারেন্সে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “ মসজিদটি এই জায়গায় হয়েছে ব্যক্তিগতভাবে খুশি হতে পারিনি। এটা উপজেলার কাছাকাছি হওয়া উচিত ছিল। অনেক জায়গায় আমি মসজিদ উদ্বোধন করে দিয়ে আসছি বিলের মধ্যে মসজিদ। এটা রাজনৈতিক কারণে হয়েছে। কিন্তু আমাদের মেয়াদে কোনো মসজিদ এভাবে করিনি।জেলা হলে জেলা সদরে এবং উপজেলা হলে উপজেলা হেডকোয়ার্টারে করবো। না হলে করবো না। যেমন পেকুয়া, এতো সুন্দর একটা উপজেলা কিন্তু মসজিদটি হয়েছে বিলের মাঝে। আশেপাশে কোনো বাড়িঘর কিছু নেই। তাহলে মুসল্লি পাবো কোথায়। অথচ ১২০০ মানুষ নামাজ পড়ার ব্যবস্থা আছে। কেনো ডিসি মহোদয় এটাতে দস্তখত করলেন। হয়ত পলিটিক্যাল প্রেসার ছিল। এটা যদি আরো কিছু টাকা বেশি খরচ হলেও প্রধান সড়কের পাশে করা যেত। এটার মাধ্যমে উপজেলার সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পেতো। এটার নান্দনিক, ডিজাইন এবং স্থাপত্য কৌশল আলাদা। দূর থেকে দেখলে দৃষ্টিনন্দন দেখাবে। তারপরও মসজিদ যেখানে হয়ে গেছে, সেখানে আমরা আবাদ করবো।”
এই সময় উপস্থিত ছিলেন মডেল মসজিদ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও গণপূর্ত অধিদপ্তর এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, মো. শহিদুল আলম, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মুহাম্মদ আবদুল আউয়াল হাওলাদার, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর মহাপরিচালক আবদুল ছালাম খান, উপ-প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফেরদৌস-উজ-জমান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক সরকার সরোয়ার আলম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. কামরুল ইসলাম, মসজিদের ভূমিদাতা ও চট্টগ্রাম উত্তরজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক ইউনুছ চৌধুরী , ঠিকাদার ফরিদুজ্জামান মিশু, রাঙ্গুনিয়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সুপারভাইজার মো. আবু তাহের, মডেল মসজিদ এর পেশ ইমাম মাওলানা মো. আলমগীর প্রমুখ।
সারা দেশে ৫৬৪টি মসজিদ সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, “ এসব মসজিদ এক পয়সাও বাইরের নয়। সব বাংলাদেশ সরকারের টাকা। মানুষ মনে করছে সৌদি আরব করে দিচ্ছে, এটা ভুল। পুরোটাই বাংলাদেশ সরকারের টাকা। বড় আকারে যাতে এই মসজিদে নামাজ আদায় হয় সেই আশা করছি।”
মসজিদের এসি কম চালানোর অনুরোধ করে তিনি বলেন,“ মসজিদে কিছুক্ষণ এসি চালিয়ে ফ্যান চালালে অনেক্ষণ ঠান্ডা থাকে। এসি চালালে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে। আমাদের বিল দিতে কষ্ট হয়।”
ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, “ এই মসজিদের মাধ্যমে আশেপাশে যত বাড়িঘর, পাড়াপ্রতিবেশি আছে তাদের মধ্যে তৌহিদের আলো, সুন্নতে রাসূল (দ.) এর আদর্শের আলো প্রজ্জ্বলিত হবে, জাগ্রত হবে এটা আমরা আশা করি। সারাদেশে আমরা ৫৬৪ টি মসজিদ নির্মাণে আমরা হাত দিয়েছি। এর মধ্যে সাড়ে ৩০০ হয়ে গেছে। দেড়শতের মতো বাকী আছে৷ একেবারে পঞ্চগড় থেকে শুরু করে টেকনাফ পর্যন্ত। উপজেলা মডেল মসজিদগুলো তিনতলা এবং জেলার মসজিদগুলো চারতলা বিশিষ্ট। ১৮টির মতো নদীর কিনারে উপকূলীয় মসজিদ প্রত্যন্ত এলাকায় করা হচ্ছে। যাতে দুর্যোগের সময় মানুষজন ওই মসজিদে আশ্রয় নিতে পারেন। এই মসজিদের মাধ্যমে রাঙ্গুনিয়ায় অপরাধ প্রবণতা হ্রাস পাবে। পবিত্র কোরআনে আছে, “ নামাজ মানুষকে অন্যায় এবং গর্হিত কাজ থেকে বিরত রাখে। আমরা যত মুসল্লি বাড়াতে পারবো, আমাদের সমাজ থেকে তত অপরাধ আস্তে আস্তে কমে যাবে। শতভাগ নির্মূল করতে না পারলেও সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসবে। কারণ নামাজ মানুষকে আল্লাহমুখী করে, হৃদয়কে আলোকিত করে।”
উল্লেখ্য, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে এবং গণপূর্ত অধিপ্তরের বাস্তবায়নে ৪৩ শতক জমির উপর ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই মসজিদে একসাথে ১২০০ মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন। ১৩টি গাড়ি একসাথে পার্কিং করে রাখার সুবিধা রয়েছে। মাল্টিপারপাস ওয়ার্ক এখানে হবে। কোন মানুষ মারা গেলে এখানে আধুনিক মানের গোসলের ব্যবস্থা আছে। অক্ষম মানুষের জন্য আলাদা নামাজের ব্যবস্থা আছে। হেফজখানা আছে। কিচেন ও ডাইনিং ব্যবস্থা রয়েছে। দেড় থেকে দুইশত মানুষের সেমিনার করার জন্য এসি কনফারেন্স কক্ষ ব্যবস্থা, ইসলামিক রিসাচ সেন্টার, হজ্ব বুকিং ব্যবস্থা, লাইব্রেরি ব্যবস্থা, মেহমান খানায় বিশিষ্টজনদের থাকার ব্যবস্থাসহ নানা সুবিধা রয়েছে এই মসজিদে।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট