২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে পাসের হার কিছুটা কমেছে, তবে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। উপজেলার ৪১টি স্কুল থেকে মোট ৩ হাজার ৩২৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে, এর মধ্যে পাস করেছে ২ হাজার ৪৩৬ জন। পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৭৩.২৪ শতাংশ। এ বছর ৯৫ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি; ২০২৪ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৬২ জন।
দাখিল পরীক্ষায় চিত্র
দাখিল পরীক্ষায় উপজেলার ১৫টি মাদ্রাসা থেকে ৬১৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ৪৯৮ জন, পাসের হার ৮০.৯৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ জন শিক্ষার্থী। গত বছর পাসের হার ছিল ৯০.৩৪ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৭ জন।
ভোকেশনালে তুলনামূলক ভালো ফল
ভোকেশনাল শাখায় উপজেলার ৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে ২৯৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ২৫৩ জন পাস করে, পাসের হার ৮৪.৬২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ জন শিক্ষার্থী, যেখানে গতবছর মাত্র ১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল।
প্রতিষ্ঠানভিত্তিক সেরা
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার সুমন শর্মা জানান,
উপজেলায় পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে রাঙ্গুনিয়া পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ। প্রতিষ্ঠানটির ৯৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮৭ জন পাস করেছে; পাসের হার ৮৯.৬৯ শতাংশ এবং ৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে রাঙ্গুনিয়া আদর্শ বহুমুখী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। তাদের ১৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। মাধ্যমিক শাখায় তাদের পাসের হার ৮০.০৯ শতাংশ এবং ভোকেশনালে ৯০.৯ শতাংশ।
দাখিল মাদ্রাসাগুলোর ফলাফল
দাখিলে দক্ষিণ শিলক তৈয়্যবিয়া নূরিয়া ছত্তারিয়া দাখিল মাদ্রাসা শতভাগ পাসের গৌরব অর্জন করেছে, পাশাপাশি ১ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
এছাড়া শিলক মিনা গাজীর টিলা মতিউল উলুম দাখিল মাদ্রাসা-তেও শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
মাদ্রাসা-এ তৈয়্যবিয়া অদুদিয়া সুন্নিয়া ফাযিল ও রাঙ্গুনিয়া আলমশাহ পাড়া কামিল মাদ্রাসা থেকে ৩ জন করে শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটির পাসের হার যথাক্রমে ৮৫.৩৯ শতাংশ ও ৮৪.৪৪ শতাংশ।
ভোকেশনালে শীর্ষ প্রতিষ্ঠান
ভোকেশনাল শাখায় পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে রাঙ্গুনিয়া আদর্শ বহুমুখী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, যার পাসের হার ৯০.৯ শতাংশ।
তবে জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে সরফভাটা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, যেখানে ৯ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
প্রতিবেদন- আব্বাস হোসাইন আফতাব