আব্বাস হোসাইন আফতাব : রাঙ্গুনিয়ায় মাত্র চার মাসে চারটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় একটি ছাড়া বাকি তিনটির কোনো আসামি এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। এসব হত্যাকাণ্ডে স্থানীয়দের মাঝে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ বলছে, ঘটনাগুলোর তদন্ত চলছে এবং দোষীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সবচেয়ে সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডটি ঘটে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেলে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের মোবারক আলী টিলা এলাকায়। মোহাম্মদ রাসেল (৩৫) নামের এক যুবককে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ধানক্ষেত থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রাসেল মোবারক আলী টিলা এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন বিদেশে ছিলেন এবং এক বছর আগে দেশে ফেরেন।
এর আগে ২০ জুন উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের কাঁইন্দার কুল এলাকায় গুলিতে নিহত হন শিবুউ মারমা (৩০)। তিনি মারমা পাড়ার বাসিন্দা চিংচালা মারমার ছেলে। পাহাড় থেকে লেবু এনে বিক্রি করতেন শিবুউ। স্ত্রীকে রেখে নিজ বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
৬ জুন গোডাউন বাজারে শ্বশুর ওসমান গনি (৫০) কে কুপিয়ে হত্যা করেন জামাতা মোহাম্মদ হোসেন। ঘটনার পরপরই হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। নিহত ওসমানের বাড়ি শিলক ইউনিয়নের রাজাপাড়া গ্রামে।
এছাড়া ২৬ মার্চ সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল ইসলাম তালুকদার (৭০)। এর আগের দিন ২৫ মার্চ সরফভাটার মীরের খীল বাজারে নিজের দোকানে কুপিয়ে আহত করা হয় তাকে। পরদিন হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত নুরুল ইসলাম সরফভাটা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ মামলা করেনি এবং ময়নাতদন্ত রিপোর্টও পাওয়া যায়নি বলে জানায় পুলিশ।
রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম শিফাতুল মাজদার বলেন, ” গোডাউন বাজারে শ্বশুর ওসমান গনিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে জামাতা হোসেনকে ঘটনার পরপরই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। ”
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম বলেন, “প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে। খুব শিগগিরই দায়ীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।”