মোহাম্মদ কাউসার হোসাইন :
চারজন।
পুরো পৃথিবীতে মাত্র চারজন।
আর সেই চারজনের একজন এখন আমাদের রাঙ্গুনিয়ার মেয়ে— মুমতাহিনা করিম মীম।
একদিন বাবার হাত ধরে বিদেশ ভ্রমণে গিয়েছিল মীম।
বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস দেখে মনে মনে বলেছিল—
“আমি একদিন এখানে পড়ব।”
আজ সেই স্বপ্নটাই বাস্তব।
যুক্তরাষ্ট্রের হেনড্রিক্স কলেজ থেকে পেয়েছে সবচেয়ে বড় সম্মান—
হ্যাস মেমোরিয়াল স্কলারশিপ।
এই স্কলারশিপের সংখ্যা পুরো বিশ্বে মাত্র চারটি।
শুধু তাই নয়—
মীমের ঝুলিতে এসেছে ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার।
যার মধ্যে স্কলারশিপের পরিমাণ প্রায় ৩৬ কোটি টাকা।
সে পড়বে কম্পিউটার সায়েন্স ও ডুয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে।
অনেকে ভাবে—
“মেয়ে হয়ে এসব কি সম্ভব?”
কিন্তু মীম প্রমাণ করেছে—
মেয়ে হওয়া কোনো বাধা নয়।
সপ্তম শ্রেণিতে ওয়েবসাইট বানানো,
নবম শ্রেণিতে ৬৫ জন সদস্যের প্রোগ্রামিং ক্লাব গড়া,
জাতীয় পর্যায়ে প্রথম হওয়া—
এগুলো মীমের জীবনের গল্পের অংশ।
করোনাকালীন সময়েও থেমে থাকেনি।
নিজের ঘরে গড়ে তুলেছে মিনি রোবটিক্স ল্যাব।
সেখানেই তৈরি করেছে ফুড-সার্ভিং রোবট ‘কিবো’।
পৃথিবীর ইতিহাসে বড় বড় স্বপ্নগুলো সবসময় শুরু হয় একটা ছোট্ট ইচ্ছা থেকে।
মীমেরও শুরু হয়েছিল তেমনি।
কঠিন পথ পেরিয়ে, রাতের পর রাত জেগে আজ সে এই জায়গায় পৌঁছেছে।
মীম আমাদের শিখিয়ে দিয়েছে—
“স্বপ্ন বড় হোক। চেষ্টা নিখুঁত হোক। আর নিজের ওপর বিশ্বাস অটুট থাকুক।”
রাঙ্গুনিয়ার এই মেয়েটি শুধু নিজের জন্য নয়,
আমাদের প্রত্যেকের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকুক।
লেখক – শিক্ষক, সুন্নী নূরানি মাদরাসা