ইসমাইল হোসেন নয়ন
রাঙ্গুনিয়ার ছোট্টো গলি আর বিশাল শহরের সংযোগস্থলে আজকাল এক অদ্ভুত দৃশ্য চোখে পড়ে—সংবাদ যেমন মানুষের জীবনের কণ্ঠস্বর তুলে ধরে, তেমনি কখনো কখনো হয়ে যায় ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের হাতিয়ার।
সদ্য কলেজের শেষ বর্ষের ছাত্র রবিউল মোস্তফা মুন্না বললেন, “আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবর পড়ি। অনেক সময় সত্য মিথ্যার মিল খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, অনেকেই শুধু ফ্রি প্রেস কার্ড বা পরিচিতি পাওয়ার জন্য সাংবাদিক পরিচয় ব্যবহার করছেন। আবার কেউ কেউ ছোটখাট ঘটনা—যেমন ফিতা কাটা, জন্মদিন উদযাপন—কেও সংবাদ বানিয়ে ফেলছেন। প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে অপকর্মের সঙ্গে জড়িত হওয়ার ঘটনাও শোনা যাচ্ছে। এক প্রবীণ সাংবাদিক স্মৃতিচারণ করে বলেন,
“আমরা শিখতাম সংবাদ মানে সত্য প্রকাশ করা। এখন অনেকেই এটিকে ব্যবসা বা ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য ব্যবহার করছে।”
সাংবাদিকতার এই সস্তা রূপ শুধু পাঠকের আস্থা কমাচ্ছে না, প্রকৃত সাংবাদিকদের কাজকেও কঠিন করে তুলছে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, এ থেকে উত্তরণে প্রয়োজন:
সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ ও নৈতিক মূল্যবোধ
স্থানীয় পর্যায়ের সংগঠিত প্রেস ক্লাবের কার্যকর ভূমিকা
পরিচয়পত্র ও নিবন্ধন প্রক্রিয়ার কঠোর নিয়ন্ত্রণ
রাঙ্গুনিয়ার প্রকৃত সাংবাদিকদের মতে, যদি এসব ব্যবস্থা নেওয়া যায়, পাঠকের আস্থা ফিরবে এবং পেশার মর্যাদাও বজায় থাকবে।
শেষ পর্যন্ত, রাঙ্গুনিয়া দেখাচ্ছে—সত্যের খোঁজ কখনো সহজ নয়, কিন্তু সততার পথে চলাই সাংবাদিকতার মূল দিক।
লেখক- সাংবাদিক, সংগঠক