মোহাম্মদ শাহাদাত
তরুণরা একটি দেশের ভবিষ্যৎ। তারুণ্যই গড়ে তোলে জাতির আগামী দিনের রূপরেখা। কিন্তু বর্তমানে আমাদের তরুণ সমাজের বড় একটি অংশ সময়ের সঠিক ব্যবহারে ভয়াবহ সংকটে পড়েছে। দিনের পর দিন মোবাইলের স্ক্রিনে চোখ রেখে সময় নষ্ট করছে তারা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে ফেসবুক স্ক্রলিং, টিকটক ভিডিও দেখা, ইউটিউবে হাসির ভিডিও বা অনর্থক বিনোদনে নিমগ্ন থাকা। এই সময়ের অপচয়ের ফলে নষ্ট হচ্ছে তাদের মনোযোগ, সৃজনশীলতা আর চিন্তার গভীরতা।
কিন্তু ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি আসলে কোনো অভিশাপ নয়।
প্রযুক্তিই পারে তরুণদের জীবন বদলে দিতে—যদি তারা তা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে শেখে।
বর্তমানে অনলাইনে রয়েছে হাজারো ফ্রি কোর্স, এবং দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ।
ডুয়োলিঙ্গো দিয়ে ভাষা শেখা যায়, কোরসেরা বা উডেমি থেকে শিখে নেওয়া যায় গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে আয় করার পথও খোলা—আপওয়ার্ক,ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার.কম এসব প্ল্যাটফর্ম এখন সবার হাতে।
অথচ আমাদের দেশের লাখ লাখ তরুণ এখনো শুধু চাকরির পেছনে ছুটছে।
তারা উপলব্ধি করতে পারছে না—এই প্রযুক্তিই পারে তাদের আত্মনির্ভর করে তুলতে।প্রযুক্তি ব্যবহারে দুই রকম পথই খোলা—সম্ভাবনা কিংবা বিপর্যয়।
তরুণরা যদি সময় অপচয় করে ‘ডিজিটাল আসক্তি’তে ডুবে থাকে, তবে সেটা হবে জাতির জন্য বড় ক্ষতি।
আর যদি তারা সময়ের সদ্বব্যবহার করে নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তোলে, তবে তারুণ্যই হবে দেশের এগিয়ে যাওয়ার মূল শক্তি।এখন সময়, পরিবার, শিক্ষক আর সমাজের দায়িত্ব—তরুণদের সময় ব্যবহারের বিষয়ে সচেতন করা। তাদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে দক্ষতা অর্জন আর আত্মনির্ভরতার পথে।
তরুণরাই পারে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে—শুধু প্রয়োজন সময়ের সঠিক ব্যবহারের মানসিকতা।
লেখক— প্রকৌশলী