প্রতিবেদন:সৌরভ সাহা
বাংলাদেশ -সহ পৃথিবীর একাধিক দেশ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর, রবিবার দেখা যাবে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ।
রোববার রাত ৯টা ২৮ মিনিট ২৫ সেকেন্ড থেকে। এরপর আংশিক চন্দ্রগ্রহণ শুরু একইদিন রাত ১০টা ২৭ মিনিটি ০৯ সেকেন্ডে।
পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে রাত ১১টা ৩০ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড থেকে। সর্বোচ্চ গ্রহণ চলবে রাত ১২টা ১১ মিনিটি ৪৭ সেকেন্ড পর্যন্ত। পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ শেষ হবে রাত ১২টা ৫২ মিনিট ৫১ সেকেন্ডে। আংশিক গ্রহণ শেষ রাত ১টা ৫৬ মিনিটি ৩১ সেকেন্ডে। পেনুম্ব্রাল চন্দ্রগ্রহণ শেষ হবে রাত ২টা ৫৫ মিনিট ৮ সেকেন্ডে পর্যন্ত চলবে এই গ্রহণ। এই গ্রহণের সময় আকাশে দেখা যাবে রক্তবর্ণ চাঁদ। কিন্তু কেন এই চাঁদের রং রক্তিম হয়,

পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ কী চাঁদের নিজস্ব কোনও আলো নেই। তার উপর সূর্যের আলো পড়ে। তারপরেই তাকে দেখা যায়। পৃথিবী চাঁদ এবং সূর্যের মাঝে চলে এলে সূর্যের আলো আর চাঁদে পড়ে না। বদলে পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপরে পড়ে। তখনই হয় চন্দ্রগ্রহণ। পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের রং হয় লাল। সে কারণে তাকে ‘রক্ত চাঁদ’ (ব্লাড মুন)-ও বলা হয়ে থাকে।
কেন চাঁদের রং লালচন্দ্রগ্রহণের সময় সূর্যের আলো পৃথিবীপৃষ্ঠে পড়ে বিপরীত দিকে পৃথিবীর যে ছায়া ফেলে সেটা দুই ধরনের। মাঝখানের অপেক্ষাকৃত ঘন অন্ধকারকে বলা হয় ‘প্রচ্ছায়া’ (umbra) আর অপেক্ষাকৃত কম ঘন অন্ধকারকে বলা হয় ‘উপচ্ছায়া’ (penumbra)। সূর্যের আলো বায়ুম-লের মধ্য দিয়ে প্রতিসরিত হতে হতে পৃথিবীর যে দিকে চাঁদ অবস্থান করছে সে দিকের বায়ুমণ্ডলে চলে আসে। বায়ুমণ্ডলে প্রতিসরণের সময় স্বল্প তরঙ্গদৈর্ঘ্যরে রংগুলো বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়। লাল রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য অন্যান্য রঙের তুলনায় বেশি বলে খুব একটা বিক্ষিপ্ত না হয়েই লাল রং পৃথিবীর অপর দিকের বায়ুমণ্ডলে চলে আসে এবং এরপর চাঁদের বুকে প্রতিফলিত হয়। আর এ কারণেই আমরা লাল রঙের চাঁদ দেখতে পাই।
পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের ধাপগুলো:
1. পেনুম্ব্রাল পর্যায় – চাঁদ পৃথিবীর হালকা ছায়া (penumbra) স্পর্শ করে।
2. আংশিক গ্রহণ – চাঁদ পৃথিবীর ঘন ছায়া (umbra) প্রবেশ করতে শুরু করে।
3. পূর্ণগ্রাস – পুরো চাঁদ পৃথিবীর ছায়ার মধ্যে ঢুকে যায়, তখন লালচে দেখা যায়।
4. আংশিক গ্রহণ শেষ – ধীরে ধীরে ছায়া থেকে বেরিয়ে আসে।
5. পেনুম্ব্রাল গ্রহণ শেষ – গ্রহণ সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়।
সংগৃহীত।