1. abbashossain761@gmail.com : চলমান রাঙ্গুনিয়া : চলমান রাঙ্গুনিয়া
  2. info@www.cholomanrangunia.online : চলমান রাঙ্গুনিয়া :
শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রাঙ্গুনিয়ায় কাল শনিবার “শান্তির পথে ম্যারাথন দৌড় ২০২৫” বিকল ট্রান্সফরমার বহনে কচ্ছপ গতি, তিন দিন ধরে যানজটে নাকাল কাপ্তাই সড়ক চট্টগ্রামের ভাষার গানকে বিশ্বে তুলে ধরতে চাই -সুব্রত রাঙ্গুনিয়ার ইউএনওর সাথে ক্রীড়া সংস্থার নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ রাঙ্গুনিয়ায় জামায়াত প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ রাঙ্গুনিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে ইউএনও রাঙ্গুনিয়ায় বৃহত্তর সুন্নী জোটের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপি নেতার ভাইয়ের মৃত্যুতে শোক আলী আজগরের স্ত্রীর অসুস্থতায় দোয়া কামনা রাঙ্গুনিয়ায় নূরের আলো সুপার লীগ–২০২৫ এর উদ্বোধন

আজ মহালয়া – শুভ শক্তির আগমন

  • প্রকাশিত: রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ২৫০ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদন: সৌরভ সাহা
আশ্বিনের শারদপ্রাতে, বেজে উঠেছে আলোক মঞ্জীর; ধরণীর বহিরাকাশে অন্তরিত মেঘমালা; প্রকৃতির অন্তরাকাশে জাগরিত জ্যোতির্ময়ী জগৎমাতার আগমন বার্তা
আজ মহালয়া,
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। এটি কেবল দেবীপক্ষের সূচনা নয়, বরং বাঙালি সংস্কৃতির এক আবেগঘন দিন, যা মা দুর্গার আগমনী বার্তা বয়ে আনে।
রেডিওর উপরে জমে থাকা সারা বছরের পুরু ধুলোর আস্তরণ সরিয়ে মহালয়ার ভোরবেলায় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের পরিচিত সুর শোনার জন্য প্রত্যেক হিন্দু ধর্মাবলম্বী প্রতি বছর অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন। এই সুর মিশে গেছে সারা বিশ্বের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রক্তে রক্তে। শারদ প্রাতে আলোকবেণু বাজতে আর কয়েকদিন বাকি আছে। চারিদিকে পুজো পুজো রব। মহালয়ার দিন পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে, মাতৃপক্ষ শুরু হয়। সেদিনই আক্ষরিক অর্থে দুর্গাপূজার সূচনা।
মহালয়া শব্দটির অর্থ, মহান আলয় বা আশ্রম। এক্ষেত্রে দেবী দুর্গাই হলেন, সেই মহান আলয়। পুরাণ থেকে মহাভারত, মহালয়া ঘিরে বর্ণিত আছে নানা কাহিনী। মহালয়ার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ রীতি। এই বিশেষ দিনই দেবীর দুর্গার চক্ষুদান হয়। রামায়ণ অনুসারে, রাবণ বসন্তকালে দেবী দুর্গার পূজা শুরু করেন, যা বর্তমানে বাসন্তী পূজা নামে পরিচিত। শ্রীরামচন্দ্র পরবর্তীকালে শরৎকালে দুর্গাপুজোর আয়োজন করেন, যা অকালবোধন নামে পরিচিত। এরপর থেকেই শারদীয়া দুর্গাপূজা চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। 

পুরাণে বলা আছে মহালয়ার দিনে, দেবী দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করার দায়িত্ব পান। ব্রহ্মার বরপ্রাপ্ত কোনো মানুষ বা দেবতার পক্ষে মহিষাসুরকে বধ করা সম্ভব ছিল না। ফলত অসীম ক্ষমতাশালী মহিষাসুর তার ক্ষমতার দম্ভে মদমত্ত হয়ে ওঠে। একে একে দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করে। ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব ত্রয়ী তখন বাধ্য হয়ে মিলিতভাবে মহামায়ার রূপে অমোঘ নারী শক্তি সৃষ্টি করলেন। দেবতাদের দান করা ১০টি অস্ত্রে সিংহবাহিনী দেবী দুর্গা সুসজ্জিত হয়ে উঠেন। ৯ দিন ব্যাপী যুদ্ধে মহিষাসুরকে পরাজিত ও হত্যা করলেন।
পিতৃপক্ষের অবসানে দেবীপক্ষের সূচনার দিনটিকেই মহালয়া হিসেবে উদযাপন করা হয়।
মহালয়ার ভোরে বাংলার ঘরে ঘরে শোনা যায় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে চণ্ডীপাঠ। ভক্তরা বিশেষ প্রার্থনা, তর্পণ ও পুজো আয়োজন করে। বাজার, পুজোমণ্ডপ ও শিল্পীদের কর্মশালা উৎসবের প্রস্তুতিতে মুখরিত থাকে। মহালয়া থেকে প্রতিটি মণ্ডপে পূজার সাজসজ্জা শুরু হয়।
দুর্গা পূজা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে বড় উৎসব। হিন্দুশাস্ত্র মতে, মহালয়ার দিনই অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়েছিলেন দেবী দুর্গা। এই বিশেষ দিনে মহিষাসুরকে বধ করে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে এবং শুভ শক্তির আরাধনায় তাই মহালয়ার গুরুত্ব অপরিসীম।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মহালয়া মানুষের মনে শান্তি, শক্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনে। এটি অশুভ শক্তির বিনাশ ও শুভ শক্তির জয়কে প্রতিফলিত করে।
মহালয়া হলো একদিকে পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা, অন্যদিকে মা দুর্গার আগমনী বার্তা। এটি ভক্তদের মনে আশা, ভক্তি ও উৎসবের আনন্দ জাগায়। আজকের মহালয়া বাঙালি সংস্কৃতি ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের এক চিরন্তন প্রতীক।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট