আব্বাস হোসাইন আফতাব
কিছুদিন আগেই দেশে এসেছিলেন মো. আজগর। বিয়ে করে সংসার শুরু করেছিলেন। নতুন বউকে রেখে আবারও রোজগারের আশায় ছুটে যান সৌদি আরবে। পরিবারে স্বপ্ন ছিল—প্রবাসে পরিশ্রম করে সুখে শান্তিতে দিন কাটাবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হলো না।
সৌদি আরবের আল কাসিম এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার লালানগর ইউনিয়নের ফকিরপাড়ার যুবক আজগরের (৩২)। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে কোম্পানির কাজ শেষে ফেরার পথে তাদের গাড়ি দূর্ঘটনার শিকার হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি ও কুমিল্লার আরেক যুবক। আহত হন আরও দুজন।
সৌদি প্রবাসী ফারুক আহমেদ বলেন, “গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারানোর সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড আঘাত পায় আজগর। আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই সে মারা যায়।”
আজগরের মরদেহ বর্তমানে স্থানীয় একটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ দেশে পাঠানো হবে।
শোকে স্তব্ধ পরিবার-
নিহত আজগর লালানগর ইউনিয়নের আলী আহমদের ছেলে। নতুন বউকে রেখে বিদেশে ফিরেছিলেন কয়েক মাস আগে। মৃত্যুর সংবাদে গ্রামে নেমেছে শোকের ছায়া।
আজগরের বাবা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “ছেলেটা তো সংসার শুরু করল মাত্র। ভেবেছিলাম এবার সুখে শান্তিতে দিন কাটাবো। কিন্তু ভাগ্য আমাদের এভাবে ছিন্নভিন্ন করে দিল।”
প্রবাসী জীবনের কঠিন বাস্তবতা
প্রবাসে গিয়ে পরিশ্রম করে পরিবারকে স্বচ্ছল করার স্বপ্ন ছিল আজগরের। তার মতো অসংখ্য প্রবাসী জীবন কাটায় স্বজনদের থেকে দূরে থেকে। কেউ কেউ ফিরতে পারেন না আর। আজগরের মৃত্যু সেই নির্মম বাস্তবতারই আরেকটি প্রতিচ্ছবি।