আব্বাস হোসাইন আফতাব :
ব্যস্ত রাস্তা, সরু পথ, প্রতিদিনের ছোটখাটো দুর্ঘটনা তবু সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এক ঘটনা পুরো এলাকায় গভীর শোকের ছায়া নেমেছে। ব্যাটারি চালিত একটি অটোরিকশার ধাক্কায় গুরুতর আহত ইমতিয়াজ হোসেন ইতুন (২৬) দেড় মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। ইথুন রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড এর বাসিন্দা ছিলেন।
স্থানীয়রা বলছেন,ইথুন শুধু এক যুবক ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন বাবা, একজন সন্তান, একজন ভাই। একটি তিন বছরের ছোট্ট মেয়ে আজ তার বাবা হারিয়েছে, এক বোন অল্প বয়সে বিধবা, মা-বাবা হারালেন প্রিয় সন্তানকে। এই শোক, এই ক্ষোভ, এই হতাশ প্রতিটি বাড়িতে স্পষ্টভাবে অনুভূত হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. কামাল হোসেন বলেন,“ইথুন খুবই ভদ্র ও পরিশ্রমী ছেলে ছিল। এমনভাবে তাকে হারানো কেউ কল্পনাও করতে পারত না। সংশ্লিষ্টদের উচিত সড়ক দূর্ঘটনা রোধে এখনই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া, যেন আর কোনো পরিবার এমন শোকের মুখোমুখি না হয়।”
স্থানীয়রা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, আজ ইথুন, আগামীকাল হয়তো অন্য কেউ। সামান্য সচেতনতা, সামান্য প্রশিক্ষণ, সামান্য নিয়ন্ত্রণ এগুলোই জীবন বাঁচাতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রশিক্ষণহীন মোটর রিকশা চালক এবং নিয়ন্ত্রণহীন যানবাহনই সবচেয়ে বড় ঝুঁকি।
ইথুনের মৃত্যু শুধু এক পরিবারকে নয়, পুরো সমাজকে আবেগঘন বার্তা দিয়েছে। আজকের এই শোক যেন আগামীকাল সতর্কতার প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়—এটাই প্রত্যাশা করছেন স্থানীয়রা।