আব্বাস হোসাইন আফতাব : রোববারের বিকেলটা ছিল অন্য দিনের মতোই। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনার কদমতলিতে তখনো সূর্যের আলো ঝলমল করছে, চারপাশে শিশুর হাসির শব্দ। মামার বাড়িতে বেড়াতে আসা ছোট্ট ইয়াসিনও সেই আনন্দের অংশ ছিল। বারো বছরের একরাশ চঞ্চলতা, নিষ্পাপ হাসি, প্রাণভরা কৌতূহল সব মিলিয়ে যেন পরিবারের প্রাণ।
কিন্তু সেই হাসিই হঠাৎ থেমে গেল পানির গভীরে। গোসল করতে নেমেছিল বন্ধুদের সাথে, কে জানত সেটাই হবে জীবনের শেষ ডুব। সৈয়দুল হক চেয়ারম্যান বাড়ির পুকুরের শান্ত জলে মিলিয়ে গেল এক কিশোর জীবনের সব রঙ।
আত্মীয়-স্বজনের ব্যস্ত পা, আতঙ্কে ছুটোছুটি, দিশেহারা চিৎকার—সব মিলিয়ে যেন পুরো গ্রামটা হঠাৎ থেমে গেল। কিছুক্ষণ পর পুকুর থেকে উঠে এলো ইয়াসিনের নিথর দেহ। আর কান্নায় ভেঙে পড়ল মামা বাড়ি, মা-বাবা, প্রতিবেশী সবাই।
স্থানীয় রাঙ্গুনিয়া হেলথ কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক জানালেন—সব শেষ।
একটি পরিবার হারাল তাদের উচ্ছ্বল সন্তানকে, হারিয়ে গেল একটি হাসি, একটি শৈশব।
পুকুরের পানি এখনো শান্ত, কিন্তু সেই জলে ভাসছে এক পরিবারের অগণিত স্মৃতি।