
রাঙ্গুনিয়ার গোচরা বাজারে বিকাশ প্রতারণার চেষ্টা করতে গিয়ে মো. আবদুল মোতালেব (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে স্থানীয়রা হাতেনাতে ধরলেন। উদ্ধার হয়েছে ৩২ হাজার টাকার জাল নোট। ঘটনার সময় তার পালানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং প্রতারণায় ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়।
পোমরা ইউনিয়নের গোচরা বাজারের তেলের দোকানের পাশে বিকাশ ব্যবসা করা সাইফুল ইসলাম ঘটনার মূল নায়ক হয়ে উঠেছেন। তিনি জানান, বুধবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে মোতালেব তার দোকানে ২০ হাজার টাকা বিকাশ করতে আসে। কিন্তু টাকা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সে জাল নোট ধরিয়ে দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে। “আমি দৌড়ে গিয়ে তাকে ধরে ফেলি। পরে তার পায়ের মোজার ভেতর আরও নোট পাওয়া যায়,”— বললেন সাইফুল।
মোতালেবের বাড়ি রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার নতুন বাজার এলাকায় হলেও, তার মূল বাড়ি কুমিল্লায়। তার বাবা বনবিভাগের অবসরপ্রাপ্ত স্টোরকিপার ছিলেন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার এসআই মো. মিজান তাকে আটক করেন।
ওসি এটিএম শিফাতুল মাজদার জানান, “আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। স্থানীয়দের সহায়তায় প্রতারণার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।”
গোচরা বাজারের মানুষজন প্রতারণার এই ঘটনায় সতর্ক হয়ে উঠেছেন। কেউ কেউ বলছেন, “আজকের ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে, আমাদের সাবধান থাকা দরকার। ছোট্ট প্রতারণার চেষ্টা অনেক বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে।”
ঘটনাটি রাঙ্গুনিয়ার সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকার পাশাপাশি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সজাগ রাখার একটি সতর্কবার্তা হয়ে দাড়িয়েছে।