
চলমান প্রতিবেদক : রাঙ্গুনিয়ার এক শান্ত-লাজুক মেয়ের নাম মুসকান। রাঙ্গুনিয়া আদর্শ বহুমুখী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সে। তার পরিবারে সাহিত্য-সংস্কৃতির আবহ আছে শৈশব থেকেই। তার বাবা সাংবাদিক আব্বাস হোসাইন আফতাব ও মা রোকেয়া আফতাব তাকে ছোটবেলা থেকেই বই, শব্দ আর উচ্চারণের প্রতি ভালোবাসা শিখিয়েছেন। তাই হয়তো মুসকানের কণ্ঠে কবিতা উচ্চারণ যেন শুধু শব্দ নয়, অনুভূতি হয়ে ওঠে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত জাতীয় শিশু-কিশোর ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার দিনটিতে চট্টগ্রাম নগরীর বিভাগীয় কার্যালয়ে ছিল প্রতিযোগীদের ভিড়, উত্তেজনা আর অপেক্ষা। মুসকান ছিল শান্ত, পরিচিত স্বভাবে। হাতে প্রস্তুতির খাতা, চোখে আত্মবিশ্বাসের ধীর আলো।
তার প্রতিযোগিতা ছিল ক বিভাগে কবিতা আবৃত্তি।
মঞ্চে দাঁড়িয়ে যখন সে কবিতা শুরু করল, হলঘরের ভিড় মুহূর্তে থমকে গেল। তার উচ্চারণ ছিল স্পষ্ট, তাল ছিল নিখুঁত, আর আবেগ ছিল গভীর। মনে হচ্ছিল শব্দগুলো যেন বুকের ভেতর থেকে আলো হয়ে বেরিয়ে আসছে।
ফলাফল ঘোষণার সময় বিচারকদের প্রশংসা ছিল স্পষ্ট।
মুসকান ক বিভাগে জেলা পর্যায়ে প্রথম হলো।
এখন সামনে বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সুপারভাইজার মাওলানা আবু তাহের বলেন,
“মুসকানের আবৃত্তিতে ছিল স্পষ্টতা, আবেগ আর আত্মবিশ্বাস। তাই সে সবার নজর কাড়ে। আমরা আশা করছি বিভাগীয় পর্যায়েও সে ভালো করবে।”
মুসকানের পরিবার বলছেন,
“সে যেন আল্লাহর রহমতে সুন্দর পথেই এগিয়ে যায়, এটাই আমাদের দোয়া।”
রাঙ্গুনিয়া আজ মুসকানকে নিয়ে গর্ব করছে।
একটি ছোট্ট কণ্ঠ এখন বড় স্বপ্নের দরজায় দাঁড়িয়ে।
আর আমরা অপেক্ষা করছি তার সেই স্বপ্নের আগামীর উজ্জ্বল আলো দেখার জন্য।