
রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত ‘কম্প্রিহেনসিভ কমিউনিটি হেলথ প্রোগ্রাম’-এর সূচনা সভায় প্রধান অতিথি রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রুহুল আমিন স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম প্রসারে ইউপি পর্যায়ে সচেতনতা সভা আয়োজনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “বেসরকারি সংস্থাকে ঘিরে নানা নেতিবাচক ধারণা থাকলেও এই প্রকল্পের স্বচ্ছ বাজেট, কার্যক্রমের স্বচ্ছতা এবং দুর্গম এলাকায় মা-বোনদের চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ প্রশংসনীয়। দুর্গম এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা আরো জোরদার করতে হবে। ইউনিয়ন পর্যায়ে সচেতনতা সভা আয়োজন করলে প্রান্তিক জনগণ আরও উপকৃত হবেন।
রোববার (৩০ নভেম্বর)সকালে কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভার সভাপতিত্ব করেন খ্রিষ্টিয়ান হাসপাতাল চন্দ্রঘোনার পরিচালক ডা. প্রবীর খিয়াং। বিশেষ অতিথি ছিলেন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন, কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ওমর ফারুক রনি, সহকারী তথ্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসাইন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন এবং হিল ফ্লাওয়ারের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর জেনিফার অজান্তা তঞ্চঙ্গ্যা।
প্রকল্পের মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার বিজয় মারমা। তিনি কমিউনিটি পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা বিস্তারের রূপরেখা, কর্মপরিকল্পনা এবং স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার কৌশল তুলে ধরেন। সভাপতির বক্তব্যে ডা. প্রবীর খিয়াং বলেন, “১৯০৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে চন্দ্রঘোনা খ্রিষ্টিয়ান হাসপাতাল পাহাড়ি অঞ্চলের দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষদের সেবা দিয়ে আসছে। ভবিষ্যতেও দুর্গম এলাকায় সেবা বিস্তৃত করা হবে।”
সভায় উপস্থিত অতিথিরা স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে এবং কমিউনিটি হেলথ প্রোগ্রামের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন।