রাঙ্গুনিয়ার মানুষের কাছে ইউএনও মো. কামরুল হাসান ছিলেন শুধু একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নন, ছিলেন একজন মানবিক হৃদয়ের মানুষ, তরুণদের আশ্রয়দাতা, আর খেলাধুলার নিবেদিত সমর্থক। দায়িত্বের সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে তিনি এলাকার ক্রীড়াঙ্গনে সৃষ্টি করেছিলেন আলাদা এক উষ্ণতা। তাঁর আচরণে ছিল সহজ-সরল মানুষের প্রতি টান, তরুণদের প্রতি উৎসাহ এবং খেলাধুলার প্রতি নিখাদ ভালোবাসা।
চারপাশে বিদায়ের আবহ। পরিচিত মানুষদের শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতার স্রোত বইছে। ঠিক এই মুহূর্তেই ঘটে যায় এক নিঃশব্দ অথচ হৃদয়ছোঁয়া ঘটনাটি।
একজন তরুণ ফুটবলপ্রেমী কলেজ শিক্ষার্থীকে ইউএনও হাতে তুলে দেন খেলার বুট জুতা—সদ্য কেনা, সযত্নে রাখা উপহার। সে ভালো ফুটবল খেলে,কিন্তু তার ভালো বুট জুতা নেই শুনে তিনি জুতা জোড়া উপহার দেন।
বুট জুতাটি শুধু একটি খেলোয়াড়ের প্রয়োজন মেটায়নি; বরং সাহস, স্বপ্ন আর সম্ভাবনার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে সেই তরুণের জীবনে। বিদায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন সরকারি কর্মকর্তার এই ছোট্ট উপহারটি যেন বড় একটি বার্তা,‘খেলাধুলা বদলে দিতে পারে একটি জীবন, আর আমরা সবাই সেই পরিবর্তনের অংশ হতে পারি।’
সেদিনের মানবিক মুহূর্তটির প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলেন উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ও ক্রিকেটার ইকবাল আহমেদ বেলাল। তাঁর চোখেও ছিল বিস্ময় আর গর্ব,একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা কতোটা হৃদয়বান হলে এমন কাজ করে যেতে পারেন।
বিদায়ের দিনে এ ছোট্ট দৃশ্যটি রাঙ্গুনিয়ার মানুষের স্মৃতিতে জায়গা করে নেবে দীর্ঘদিন। কারণ, দায়িত্ব শেষ হলেও মানবিকতা কখনো অবসর নেয় না।
প্রতিবেদন- আব্বাস হোসাইন আফতাব