
কাপ্তাই সড়ক শুধু রাঙ্গুনিয়ার মানুষের জন্য নয়; রাঙামাটির কাপ্তাই, রাজস্থলীসহ আশপাশের এলাকার মানুষের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে শত শত যানবাহন। কিন্তু সড়কটির রাঙ্গুনিয়া অংশ এখন আর সড়ক নয়,এ যেন গর্তের সারি, খানা-খন্দকে ভরা এক ভয়াবহ দুঃস্বপ্ন।
বিশেষ করে পোমরা বুড়ির দোকান এলাকা থেকে শুরু করে অন্তত ছয়টি স্থানে ব্যাপক ভাঙাচোরা ও গভীর গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।ফলে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
যানজটে ক্লান্ত যাত্রী ও পথচারী
সড়কে কোনো একটি গাড়ি আটকে পড়লেই মুহূর্তের মধ্যে শত শত গাড়ি থমকে যায়। কয়েক কিলোমিটারজুড়ে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। চালকদের মুখে ক্ষোভ“,এভাবে আর কত দিন চলবে?”
সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের কালো বিটুমিনের কোনো চিহ্নই আর অবশিষ্ট নেই। ভারী যানবাহন তো দূরের কথা, মোটরসাইকেল চালকরাও আতঙ্কে থাকেন,কখন যে চাকা পিছলে পড়ে যান, তার নিশ্চয়তা নেই।
যানজটে আটকে থাকা যাত্রীদের অনেকেই বিরক্ত ও ক্লান্ত। কেউ কেউ নিরুপায়। বাসযাত্রী মাহাবুবুল আলম বলেন,
“প্রতিদিন একই দুর্ভোগ। অফিসে যেতে দেরি হয়, ফিরতেও দেরি। রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার সময় আটকে পড়তে হয়। এই সড়ক কি আমাদের কারো নয়?”
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুর রহমান জানান, মডেল থানা গেট ও হরিন গেট এলাকায় ভয়াবহ ভাঙাচোরার কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।
দীর্ঘদিনের দাবি, নেই কার্যকর উদ্যোগ
স্থানীয়দের দাবি, সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে শুধু আশ্বাসই মিলছে। একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন,
“শুধু শুনি,মেরামত হবে, হবে। বাস্তবে কিছুই হয় না।”
এলাকাবাসীর আশঙ্কা, দ্রুত সংস্কার না হলে দুর্ঘটনার সংখ্যা আরও বাড়বে। তাদের প্রশ্ন,
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চোখে কি এই ভোগান্তি পড়ে না?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ইউনুছ বলেন,
“বিভিন্ন কারণে এতদিন সড়কের সংস্কারকাজ করা যায়নি। যেখানে গর্ত হয়েছে, সেগুলো দ্রুত মেরামত করা হবে।”
ছবির ক্যাপশন
চট্টগ্রাম–কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়ার থানা সদর দোকান এলাকায় ভয়াবহ খানা–খন্দক। প্রতিনিয়ত গাড়ি আটকে ঘটছে দুর্ঘটনা ও দীর্ঘ যানজট।